মিয়ানমারের শক্তির উৎস ইসরায়েল

চলতি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ইসরায়েলের হাইকোর্টে মিয়ানমারের কাছে অব্যাহত অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করে মানবাধিকারকর্মীদের এক আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

মার্চ মাসে প্রাথমিক শুনানিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণলায় যুক্তি তুলে ধরে জানায়, এই বিষয়ে আদালতের কিছু করার নাই, বিষয়টি পুরোপুরি কূটনৈতিক।

৫ জুন ইসরায়েলের সংসদে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বিষয়ে নিসেট সদস্য তামার জ্যান্ডবার্গের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবিগডর লিয়েবারম্যান জানান, ইসরায়েল আলোকিত বিশ্বকে (পশ্চিমা দেশ) অনুসরণ করে। 

প্রথমত বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র রফতানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে। ইসরায়েল নিজেদের যুক্তরাষ্ট্রের অনুগামী এবং একই নীতি অনুসরণ করে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, নিসেট প্লেনাম এই ধরনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার ক্ষেত্র নয় এবং ইসরায়েল আলোকিত বিশ্বের জারি করা সব নির্দেশনা অনুসরণ করে।

হারেৎজ লিখেছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য সঠিক নয়। মিয়ানমারের কাছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

ফলে লিয়েবারম্যানের বক্তব্য অজ্ঞতা না কি ইসরায়েলের অস্ত্র রফতানির বিষয়ে পুরোপুরি অবগত নন (যদিও তিনিই অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করেন) কিংবা চোখে ধূলো দেওয়ার কোনও চেষ্টা, তা স্পষ্ট নয়।

ইতিহাস অনুসারেও লিয়েবারম্যানের দাবি সঠিক নয়। আর্জেন্টিনায় যুদ্ধাপরাধে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়েছে ইসরায়েল। 

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকার সময় ইসরায়েল আর্জেন্টিনাকে অস্ত্র দিয়েছে। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ইসরায়েল সার্বিয়ার সেনাদের অস্ত্র দিয়েছে। যেসব অস্ত্র দিয়ে বসনিয়ায় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

সূত্র: হারেৎজ
মিয়ানমারের শক্তির উৎস ইসরায়েল মিয়ানমারের শক্তির উৎস ইসরায়েল Reviewed by news zone on September 05, 2017 Rating: 5

Post Comments

Powered by Blogger.