দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। প্রায় সাড়ে চার মাস বন্দি অবস্থায় এখন শারীরিকভাবে অনেকটাই অসুস্থ তিনি।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করাতে চায়। কিন্তু বিএনপির চেয়ারপারসন সেখানে চিকিৎসা নিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তার পছন্দ ইউনাইটেড হাসপাতাল।
এমনকি ইউনাইটেড হাসপাতালের সব খরচ বিএনপি বহন করবে বলেও জানিয়েছে।
খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে অনীহা প্রকাশ করার পর সরকার তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেয়ার কথা বলছে।
বিএসএমএমইউ, সিএমএইচ না ইউনাইটেড হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করানো হবে এ নিয়ে টানাপোড়ন দেখা দিয়েছে।
এই টানাপোড়েনের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য কেন ইউনাইটেড হাসপাতালকে পছন্দ করে স্থির সিদ্ধান্তে আছেন?
কেন তিনি বিএসএমএমইউ কিংবা সিএমএইচ-এ চিকিৎসা নিতে রাজি হচ্ছেন না।
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এই প্রতিবেদক কথা বলেছেন, বিএনপি নেতা, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক একাধিক চিকিৎসকের সাথে।
তাদের সাথে কথা বলে দুই ধরনের অভিমত পাওয়া গেছে।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, বিএসএমএমইউতে এখন যারা প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন সেসব চিকিৎসকদের সবাই সরকারি দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত। সে কারণে সেখানে খালেদা জিয়া যথাযথ চিকিৎসা এমনকি সম্মান থেকেও বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করেন।
সে কারণে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সজ্জিত বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইটেডে তুলনামূলক নিজের জন্য স্বাচ্ছন্দের জায়গা হিসাবে মনে করেন বিএনপি চেয়ারপারসনসহ তার দলের নেতারা।
এছাড়া বিএসএমএমইউ নিয়ে তীব্র এক অস্বস্তির কথাও জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
তারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলো চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে বিএসএমএমইউ অনেক সুনাম এবং সফলতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে তা ভিন্ন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ওখানে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকরা পেশাদার না। তারা হাইলি পলিটিক্যালি অ্যাপয়েন্টেড (সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্ত)।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ওখানে চিকিৎসার জন্য গেলে চিকিৎসা খারাপ করে, বাজে কথাবার্তা বলে, বাজে কমেন্ট করে।
মেজর আখতার বলেন, সবকিছু বলা যায় না। তবে বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসদের কাছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিরাপদ না। সেখানে সবাই প্রায় আওয়ামী লীগের লোক বলে মনে করেন তিনি।
তবে কি ইউনাইটেড হাসপাতালে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসক বেশি? এমন প্রশ্নে মেজর আখতার বলেন, তা ঠিক না। বেগম জিয়ার বিষয়টি হলো তিনি যে চিকিৎসকের কাছে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন, যাকে নির্দেশ দিতে পারেন এমন চিকিৎসকের কাছে যেতে চাইছেন।
মেজর আখতার আরও বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালেও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব নয়। কারণ সেটি মূলত অর্থপ্যাডিক চিকিৎসার জন্য। সেখানে খালেদা জিয়ার যে ধরনের রোগ তার চিকিৎসা সম্ভব নয়।
তাদের মতো শতকরা ৬০ ভাগ অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাও সিএমএইচে চিকিৎসার জন্য যান না বলেন জানান মেজর আখতার।
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের অন্যতম নেতা এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, চিকিৎসা বিএসএমএমইউতে ভালো কি খারাপ বলবো না। কারো খারাপ ব্যবহারের কথাও বলবো না।
তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ৭ এপ্রিল যখন বেগম জিয়াকে বিএসএমএমইউতে আনা হলো তখন কী ব্যবহার করলো? তখনও ঠিকমতো চিকিৎসা করেনি।
তিনি বলেন, সেদিন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তার সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এই ব্যর্থতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বা কারা প্রশাসনের যে কারোর হতে পারে।
জাহিদ হোসেন অভিযোগ করেন, একজন রোগীর যে প্রাইভেসি থাকে তা বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ছিলো না। একটি ছোট্ট কক্ষে ১০/১২ জন পুরুষ নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে খালেদা জিয়ার মতো একজন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে বিএসএমএমইউ’র প্রক্টর এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক ফোরামের (স্বাচিপ) মহাসচিব ডাক্তার ইকবাল আরসানেল বলেন, বিএনপি নেতারা যা বলেন সেসব অভিযোগ সত্যি নয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বিএসএমএমইউ’র কেউ অবেহেলা করেনি। তার সাথে খারাপ ব্যবহারের প্রশ্নই উঠে না। এই হাসপাতালে অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্বরা চিকিৎসা নেন। খালেদা জিয়াও অনেক সময় অনেককে দেখতে এই হাসপাতালে এসেছেন।
ইকবাল আরসানেল বলেন, কেনো চিকিৎসক বা কোনো স্টাফও যদি খালেদা জিয়ার সাথে কোনো টিজিং বা খারাপ কোনো আচরণ করেন তা দেখার জন্য কর্তৃপক্ষ রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করাতে চায়। কিন্তু বিএনপির চেয়ারপারসন সেখানে চিকিৎসা নিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তার পছন্দ ইউনাইটেড হাসপাতাল।
এমনকি ইউনাইটেড হাসপাতালের সব খরচ বিএনপি বহন করবে বলেও জানিয়েছে।
খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে অনীহা প্রকাশ করার পর সরকার তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেয়ার কথা বলছে।
বিএসএমএমইউ, সিএমএইচ না ইউনাইটেড হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করানো হবে এ নিয়ে টানাপোড়ন দেখা দিয়েছে।
এই টানাপোড়েনের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য কেন ইউনাইটেড হাসপাতালকে পছন্দ করে স্থির সিদ্ধান্তে আছেন?
কেন তিনি বিএসএমএমইউ কিংবা সিএমএইচ-এ চিকিৎসা নিতে রাজি হচ্ছেন না।
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এই প্রতিবেদক কথা বলেছেন, বিএনপি নেতা, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক একাধিক চিকিৎসকের সাথে।
তাদের সাথে কথা বলে দুই ধরনের অভিমত পাওয়া গেছে।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, বিএসএমএমইউতে এখন যারা প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন সেসব চিকিৎসকদের সবাই সরকারি দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত। সে কারণে সেখানে খালেদা জিয়া যথাযথ চিকিৎসা এমনকি সম্মান থেকেও বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করেন।
সে কারণে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সজ্জিত বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইটেডে তুলনামূলক নিজের জন্য স্বাচ্ছন্দের জায়গা হিসাবে মনে করেন বিএনপি চেয়ারপারসনসহ তার দলের নেতারা।
এছাড়া বিএসএমএমইউ নিয়ে তীব্র এক অস্বস্তির কথাও জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
তারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলো চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে বিএসএমএমইউ অনেক সুনাম এবং সফলতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে তা ভিন্ন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ওখানে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকরা পেশাদার না। তারা হাইলি পলিটিক্যালি অ্যাপয়েন্টেড (সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্ত)।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ওখানে চিকিৎসার জন্য গেলে চিকিৎসা খারাপ করে, বাজে কথাবার্তা বলে, বাজে কমেন্ট করে।
মেজর আখতার বলেন, সবকিছু বলা যায় না। তবে বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসদের কাছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিরাপদ না। সেখানে সবাই প্রায় আওয়ামী লীগের লোক বলে মনে করেন তিনি।
তবে কি ইউনাইটেড হাসপাতালে বিএনপি সমর্থক চিকিৎসক বেশি? এমন প্রশ্নে মেজর আখতার বলেন, তা ঠিক না। বেগম জিয়ার বিষয়টি হলো তিনি যে চিকিৎসকের কাছে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন, যাকে নির্দেশ দিতে পারেন এমন চিকিৎসকের কাছে যেতে চাইছেন।
মেজর আখতার আরও বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালেও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব নয়। কারণ সেটি মূলত অর্থপ্যাডিক চিকিৎসার জন্য। সেখানে খালেদা জিয়ার যে ধরনের রোগ তার চিকিৎসা সম্ভব নয়।
তাদের মতো শতকরা ৬০ ভাগ অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাও সিএমএইচে চিকিৎসার জন্য যান না বলেন জানান মেজর আখতার।
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের অন্যতম নেতা এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, চিকিৎসা বিএসএমএমইউতে ভালো কি খারাপ বলবো না। কারো খারাপ ব্যবহারের কথাও বলবো না।
তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ৭ এপ্রিল যখন বেগম জিয়াকে বিএসএমএমইউতে আনা হলো তখন কী ব্যবহার করলো? তখনও ঠিকমতো চিকিৎসা করেনি।
তিনি বলেন, সেদিন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তার সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এই ব্যর্থতা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বা কারা প্রশাসনের যে কারোর হতে পারে।
জাহিদ হোসেন অভিযোগ করেন, একজন রোগীর যে প্রাইভেসি থাকে তা বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ছিলো না। একটি ছোট্ট কক্ষে ১০/১২ জন পুরুষ নিরাপত্তাকর্মী নিয়ে খালেদা জিয়ার মতো একজন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে বিএসএমএমইউ’র প্রক্টর এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক ফোরামের (স্বাচিপ) মহাসচিব ডাক্তার ইকবাল আরসানেল বলেন, বিএনপি নেতারা যা বলেন সেসব অভিযোগ সত্যি নয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বিএসএমএমইউ’র কেউ অবেহেলা করেনি। তার সাথে খারাপ ব্যবহারের প্রশ্নই উঠে না। এই হাসপাতালে অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্বরা চিকিৎসা নেন। খালেদা জিয়াও অনেক সময় অনেককে দেখতে এই হাসপাতালে এসেছেন।
ইকবাল আরসানেল বলেন, কেনো চিকিৎসক বা কোনো স্টাফও যদি খালেদা জিয়ার সাথে কোনো টিজিং বা খারাপ কোনো আচরণ করেন তা দেখার জন্য কর্তৃপক্ষ রয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ব্যঙ্গ বিদ্রুপের আশংকায় খালেদা জিয়া!
Reviewed by বার্তা কক্ষ
on
June 13, 2018
Rating:
