ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলি
শনিবার সকালে নিজের ফেসবুকে আইডিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। এমন মন্তব্য অনেকে সমর্থন করলেও আবার কেউ কেউ তাকে মাথা ঠাণ্ডা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। ফেসবুকে রাজনীতি নিয়ে ফারহানা মিলি যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘রাজনীতি বুঝুক না বুঝুক, সেক্সনীতি বুঝলেই বাপের বয়সী সাধারণ সম্পাদকের কোলে বসে ফুরতি (ফুর্তি) করাটাই রাজনীতিতে পদবী পাওয়ার কাজ দেবে!
শিক্ষিত না হলে দোষ নাই, একাধিক নেতা আর ব্যবসায়ীদের শারীরিক সুখ দিতে পারলেই পদবী পাওয়া যাবে! মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুই চারটা রাজনৈতিক ভালো কথা বলতে না পারলেও হোটেলে গিয়ে বাচ্চাদের ভঙ্গিমায় প্রেমালাপ পারলেই রাজনীতি হবে!

মহিলা লীগ নেত্রীর এ কেমন মন্তব্য
বেসামাল শরীরে অশালীন পোষাকে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সেইসব নোংরা ছবি তুলে ফেইজবুকে না নিয়ে এলে তাদের ফেইজবুক অচল হয়ে পড়ে! তাদের আপত্তিকর পোষাকে না দেখলে হয়ত, স্থানীয় বড়পদের বাপদের পেটের ভাত হজম হয় না!
শারীরিক বেসামাল গড়ন আর অশালীনতা যেন তাদের দেহব্যবসার বিশেষ পণ্যবস্তু। নিজের সন্তানকে কাজের লোকের কাছে রেখে রাজনীতির নামে সারাদিন বেশ্যাবৃত্তি করাটাই তাদের কাজ! পরিবারে নেই কোন জবাবদিহি, তাই যাচ্ছেতাই করা যায়।
তাছাড়া বড় বান্ডিল দেখলে আয়বিহীন পরিবারের বাপ-মায়ের চোখে অসৎ মেয়ের গোলাপি চরিত্র সকল অপরাধই ম্লান করে দেয়!
জানতে ইচ্ছে করে যদিও তাদের বাপ-মা কি তবে বেশ্যা ছিলেন??? তবুও না জেনে বুঝার বাকি থাকেনা যে, বেশ্যা না থাকলেও নিজের মেয়ের বেশ্যাবৃত্তিকে রাজনীতির সার্টিফিকেট দিতেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন মূর্খ, অশিক্ষিত আর অবুঝ বাপ-মা!!
এটাই তাদের জীবন,,,,,,
তারা এভাবেই চলে,,,,,,
তারা এমনি,,,,,,
কারণ???
খুব সহজ, স্থানীয় এমপি আর রাজনৈতিক বড় পদের মালিকদের সাথে তাদের গোলাপঝরা সখ্যতা! After all, তাদের ইয়াবা আর মাদক ব্যবসা এবং রাজনৈতিক পদ বেচে দেহব্যবসা সফল করতে ও সচল রাখতে এইসব পদবী আর বয়সে আব্বারা ই ত একমাত্র সহায়ক!’
রাজনৈতিক নেত-নেত্রীদের নিয়ে শনিবার সকালে নিজের ফেসবুকে আইডিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
মন্তব্যে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি বুঝুক না বুঝুক, সেক্সনীতি বুঝলেই বাপের বয়সী সাধারণ সম্পাদকের কোলে বসে ফুরতি (ফুর্তি) করাটাই রাজনীতিতে পদবী পাওয়ার কাজ দেবে!
শিক্ষিত না হলে দোষ নাই, একাধিক নেতা আর ব্যবসায়ীদের শারীরিক সুখ দিতে পারলেই পদবী পাওয়া যাবে! মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুই চারটা রাজনৈতিক ভালো কথা বলতে না পারলেও হোটেলে গিয়ে বাচ্চাদের ভঙ্গিমায় প্রেমালাপ পারলেই রাজনীতি হবে!
ওইসব মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর তিনি তার ফেসবুক আইডিতে প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি তার ফেসবুক আইডিতে উল্লেখ করেন, আমি জেলার রাজনীতি নিয়ে ফেইজবুকে স্টেটাস দিয়েছি।আমার প্রশ্নের জবাব দে জারজ সন্তানের দল,,,,,
০১/ আমি কি কোন রাজনৈতিক সংগঠনের নাম লিখেছি? ০২/ আমি কি কোথাও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ এর সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক এর নাম উল্লেখ করেছি?

ফেসবুক স্ট্যাটাসের জবাবে যা বললেন মহিলা আ. লীগ নেত্রী
ফারহানা মিলির ফেসবুক আইডির স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো…
” আমি জেলার রাজনীতি নিয়ে ফেইজবুকে স্টেটাস দিয়েছি।
আমার প্রশ্নের জবাব দে জারজ সন্তানের দল,,,,,
০১/ আমি কি কোন রাজনৈতিক সংগঠনের নাম লিখেছি?
০২/ আমি কি কোথাও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ এর সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক এর নাম উল্লেখ করেছি?
০৩/ আমি কি কোথাও আওয়ামীলীগ বা অন্যকোন রাজনৈতিক সংগঠন বা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এর নাম উল্লেখ করেছি?
০৪/ আমি কি কোথাও কারো ব্যক্তিগত নাম ব্যবহার করেছি?
কতগুলি কুলাঙ্গার জারজ তা জড়াচ্ছেন নিয়ে কেন্দ্রীয় সম্মানিত ও সকলের শ্রদ্ধাভাজন সাধারণ সম্পাদক এর সাথে!
আমার স্টেটাস মনুযোগ দিয়ে পড়লেই যে কেউ বুঝতে পারবে আমি স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে স্টেটাস দিয়েছি। আর আমার এই স্টেটাসের আগে পরের সব স্টেটাস দেখলেই যে কেউ বুঝতে পারবে আমি জেলার রাজনীতি নিয়ে লিখেছি।
আর আমি শুধু নারীদের বিরুদ্ধে কিছুই লিখিনি, কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছি, কিছু অসৎ ব্যক্তির রাজনৈতিক অযোগ্যতার কথা তুলে ধরেছি!
আর আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নিয়ে কখনোই কোন আপত্তিকর মন্তব্য করিনি, করতে পারিনা। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক অত্যন্ত নিঃষ্কলঙ্ক এবং নির্ভেজাল একজন মানুষ।
নারীদের উনি অত্যধিক সম্মানের নজরে দেখেন। নারী কর্মীরাও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কে অত্যধিক সম্মান করেন।
বিঃদ্রঃ———————-
এইসব ভুয়া নিউজ করলে কার লাভ হবে? একমাত্র জেলার কয়েকটা কুলাঙ্গার এর! যারা জেলা আওয়ামীলীগ টা কে পুরোদমে ধ্বংস করে দিয়েছে!
যারা রাজনীতির নামে পদবী বেচেঁ অবৈধ পয়সার মালিক হয়েছে! বিল্ডিং আর দামী ফ্ল্যাট এর মালিক হয়েছে! ”
‘রাজনীতি বুঝুক না বুঝুক, সেক্সনীতি বুঝলেই বাপের বয়সী সাধারণ সম্পাদকের কোলে বসে পদবী পাওয়া যাবে
Reviewed by বার্তা কক্ষ
on
June 14, 2018
Rating:

No comments: