কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে এবং এটি রাজনীতি নামক একটি বিষয়কে বিতর্কের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। নির্বাচন বিষয়ে বতর্মান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দিকেও আঙুল তুলেছেন এই রাজনীতিক। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সরাসরি টক-শো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এ কথা বলেন তিনি।
ওই অনুষ্ঠানে টক-শো উপস্থাপকের রাজনীতির গুরুত্ব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গিকটা হলো সদ্যসমাপ্ত নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে এবং এটি রাজনীতি নামক একটি বিষয়কে বিতর্কের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ কিনা? এমন প্রশ্নে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতি নামক বিষয়টি মানব জীবনে, যেকোন একটি সভ্য রাষ্ট্রের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি বলেন, যখনি কোন সমাজ রাজনীতি নামক বিষয়টিকে অবহেলা করে অপচয় করবে, পিছনে ফেলে দিবে, ব্যাক বেঞ্জে নিয়ে যাবে তখন ওই দেশ বিপদে পড়তে বাধ্য।
অতএব আমি মনে করি, রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে থেকে গিয়েছে কিন্তু, আমরা রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গিকের মধ্যে এই মুহূর্তে বির্তক নামক বিষয়টিকে ঢুকিয়ে দিয়েছি আমাদের কর্মের দ্বারা। আমাদের মধ্যে আমি আমাকে যুক্ত করছি না। বর্তমান সরকারকে যুক্ত করছি এবং নির্বাচন কমিশনকে যুক্ত করছি।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তথাকথিত নির্বাচন বিকেল ৪টায় সমাপ্ত হয়। এটা আমরা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন না বলে ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচন বলতে পারি।
কারণ বাংলায় তিন-চারটা শব্দ আছে কম আর জো, সতীত্ব, পবিত্রতা ও ইংরেজিতে ভার্জিনিটি। এই নির্বাচন কেন্দ্রের ভোট বাক্সের ব্যালট পেপারের সতীত্ব বা ভার্জিনিটি নষ্ট করা হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর থেকে নিয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাত ১টা, ২টা ও ৩টা পর্যন্ত। সুতরাং যা ঘটার তা ঘটে গিয়েছে।
নির্বাচনে অনিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা নির্বাচনে অনিয়ম থাকতেই পারে। কারণ কোন মানুষের কর্ম শতভাগ নিয়ম মাফিক হয় না। ভুলভ্রান্তি হতেই পারে কিন্তু যেখানে পরিকল্পিত অনিয়ম হয় সেটি কিন্তু আমাদের দুশ্চিন্তার বিষয়।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম আরও বলেছেন, নির্বাচনে দিন বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ফেসবুকে লাইভে এসে আমি শুরুই করেছি বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার দিয়ে।
আমি এটা বলার জন্য অথাৎ আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, যাদের অধীনে আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কারণ মুক্তিযুদ্ধটা তাৎক্ষণিক শুরু হয়েছিল আমাদের ১৯৭০ সালের নির্বাচনকে, জনগণের মতামতকে পাকিস্তানের সামরিক জানতা কেন সম্মান দেয় নাই।
অথচ এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা এমন একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান করলাম যেখানে রাত ২টার মধ্যে নির্বাচনের অর্ধেক হয়ে গেল। ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়ে গেল ৩০ ডিসেম্বরের। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কারণ, অন্যতম চেতনা গণতন্ত্র আমরা কি সেটা রক্ষা করতে পেরেছি? আমার মনে হয় আমরা সেটা পারিনি।
নির্বাচনে ব্যালট পেপারের ভার্জিনিটি নষ্ট করা হয়েছে!
Reviewed by বার্তা কক্ষ
on
January 23, 2019
Rating:
Reviewed by বার্তা কক্ষ
on
January 23, 2019
Rating:

No comments: